শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১১

ছবিব্লগ: ইপ্পারওয়াস পার্ক

উচ্ছিষ্ট

বরুণার করুণ উচ্ছিষ্ট বুকের এলাকায়
করেছিলাম সুগন্ধী হৃদয়ের আঁচ,
তাতেই একপায়ে খাড়া ছিলাম
বলাকার মতো।
কিংবা- ওড়া ছাড়া
কীসের বলাকা,
কীসের কী?
বড়জোর বোকা
এক বক হয়ে ছিলাম ...
কদিন আগে ইপ্পারওয়াস পার্ক বেড়াতে গিয়েছিলাম আমরা কজন। সেখানে ছোট্ট একটা লেকের টলমলে পানি আমাদেরকে যারপর নাই মুগ্ধ করেছিল। সারাদিন পানিতে দাবাদাবি, ঘুরে বেড়ানো, কলা খাওয়া, সবকিছু নিয়ে ভালই কেটেছিল দিনটি। সেখানে কিছু ছবি তুলেছিলাম। তার কয়েকটি নিচে শেয়ার করলাম। ভালো লাগলে জানাবেন।

১.



২.



বন্ধন

বন্ধন ? বন্ধন বটে ,
সকলি বন্ধন,
স্নেহ প্রেম সুখতৃষ্ণা ;
সে যে মাতৃপাণি
স্তন হতে স্তনান্তরে
লইতেছে টানি,
নব নব রসস্রোতে
পূর্ণ করি মন
সদা করাইছে পান ।
স্তন্যের পিপাসা ...

৩.



অবহেলা

ফুল কেন ছুঁড়ে ফেলে দাও
কেন বেদনা আবার খুলে দাও-
বসন্তে মল্লিকা বনছায়
কেন হেসে খেলে গেয়ে নেচে যাও
কেন বেদনা আবার খুলে দাও ।
চৈতের জোছনা সন্ধ্যাবেলা
দখিনা সমিরণ বয়ে যায়
উদাস নয়নে কারে খুঁজে চাও,
কেন বেদনা আবার খুলে দাও ।।

৪.



চাবি

আমার ঘরের চাবি পরেরই হাতে।
কেমনে খুলিয়া সে ধন দেখবো চক্ষেতে।।
আপন ঘরে বোঝাই সোনা পরে করে
লেনা দেনা আমি হলাম জন্ম-কানা
না পাই দেখিতে।।

৫.



অবকাশ

হাল ছেড়ে আজ বসে আছি আমি,
ছুটি নে কাহারো পিছুতে।
মন নাহি মোর কিছুতেই, নাই কিছুতে।
নির্ভয়ে ধাই সুযোগ-কুযোগ বিছুরি,
খেয়াল-খবর রাখি নে তো
কোনো-কিছুরি-- উপরে চড়িতে যদি নাই পাই .

গলা আমার জড়িয়ে ধর ,
ঝাঁপিয়ে পড় কোলে ,
সেই তো আমার অসীম ছুটি প্রাণের তুফান তোলে ।
তোমার ছুটি কে যে জোগায় জানি নে তার রীত ,
আমার ছুটি তো জোগায় প্রকৃতি

৬.



পরজীবির আশ্রয়স্থল

পরজীবির মতো অসুখী ছায়া বুকে নিয়ে তোমার ছায়ায় হেঁটেছি অবিরাম
ক্ষয়িত ধূলি-ধুসর মেঠোপথ যতদূর গেছে.... তবু বিচ্ছেদ করেছে নিরাশ্রয়।
বল, ব্যথার এই সফেন বুকে নিয়ে আর কত ?
কতটা সময়, কতটা দিন ! আমার পাঁজরের পুস্পের কাছে
রেখেছি তোমায় সৌরভে ঘুমাবে অনাদীকাল জুড়ে।
দেখো, একদিন ঠিক তুমি অনুবাদ করতে পেরেছো এই ভীরু মৌনতা আমার
ক্ষয়িত যৌবনের দীর্ঘশ্বাস....
সেদিন আমি সব বন্দর ঘুরেফিরে না হয়
আবার নোঙ্গর ফেলবো তোমার বন্দরে !

৭.



সময়ের তৃষ্ঞা

সময়ের তৃষ্ঞা মেটে না,
মেটার নয়।
ভুলে ভুলে থাকা।
পালিয়ে।
জীবন হয়তো এমনই ...

৮.



উল্টো

খুব আপন বাতাস অচেনা গাঢ় নীল ফুল পুরনো ভালবাসা টুকটুকে সূর্য অবশেষে উল্টো আকাশ ... খুব সাধারণ এই মানুষটি কখনও কবি হতে চায়নি, সে অন্ততঃ একটি সত্যিকারের কবিতা লিখতে চেয়েছিল . ...

৯.



নীরবতা

যখন ঘুম নামে এই পাথুরে উপত্যকায় দিন রাতের বিভেদ ভুলে
প্রলম্বিত সুরে আরো দীর্ঘ করে সকল আলস্য
তখন চেতনারা শান্ত শিশুর মত চুপচাপ জেগে চোখ মেলে দেখে যায়
অসামঞ্জস্যে ভরপুর আমাদের বিদগ্ধ জগত।

সেপাই লাগাম ঝাকিয়ে ছুটছে ছুটিহীন সবুজের বুক চিরে অসময়ে,
আর সময় অপেক্ষায় দ্বিধাহীন কোনো মানুষের;
যে নিঃশংকোচে এগিয়ে যায় ভয়ার্ত আগামীর বুকে পদাঘাত এঁকে
এক আটলান্টিকের সাহসের বসবাস সেখানে।

১০.



লাল সবুজ

তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে,
তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,
তোমার ওই শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা ।।
ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে ।
তোমার ’পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে ।
তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে,
তুমি শীতল জলে জুড়াইলে,
তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা ।।
ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা–
তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা !
আমার জনম গেল বৃথা কাজে,
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে–
তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা।।

--------------- অযুত শুভাশিষ সবাইকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন